প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উৎরাই' পেরিয়ে জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পেরেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দুর্নীতির অর্থ কোনও ভালো কাজে লাগে না। বরং তাদের (দুর্নীতিবাজ) সন্তানরাই বিপথে যাবে। এই বদনামটা যেন না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন তিনি। সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা, মহানগর ও উপজেলা, থানা, পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানরা অংশ নিয়েছেন।'
'২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি নির্যাতনের মামলা এখনও রয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাজেই মামলাগুলো যাতে যথাযথভাবে হয়, সাক্ষী যেন হয় এবং এই দুষ্কৃতকারীরা যেন যথাযথ শাস্তি পায়। ভবিষ্যতে যেত আর আগুন দেওয়া, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করার সাহস যেন না পায়, সেই ব্যবস্থাটাই আমাদের করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো সংগঠন- সেটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ এখন সত্যিকার অর্থে গণমানুষের, তৃণমূল পর্যায়ে যদি কোনও সংগঠন থেকে থাকে সেটি আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলো।
'জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর'
আপনাদের নিজ নিজ সংগঠন এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম যেন যথাযথভাবে হয়; অনেক সংগঠনে কাউন্সিল না হয়ে থাকলে দ্রুত কাউন্সিল করে দেবেন, সেটাই আমি চাই। সেভাবে করতে পারলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা দেশি-বিদেশি যত চক্রান্তই হোক রুখে দেওয়া যাবে। তিনি বলেন, চক্রান্ত থাকলেও এবার নির্বাচন করে ফেলেছি, ঠিক সেইভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নটাও আমরা করে যাবো। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা এগিয়ে যাবো। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও আমরা প্রনয়ণ করেছি।'